
বড়দের নানা রকম খাবারের রেসিপি পাওয়া কোন কষ্টের কাজ না। একটু পেপার পত্রিকা খুজলেই নানারকম মজার মজার খাবারের রেসিপি পাওয়া যাবে। আর কোন নির্দিষ্ট রেসিপি খুজতে হলে আমাদের প্রিয় বন্ধু গুগল তো আছেই। তবে মুশকিল হয়ে যায় তখনি যখন আমরা আমাদের পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যটির জন্য আনকমন কিছু রান্না করতে চাই। বাচ্চাদের জন্য মজার রেসিপি পাওয়া ভালই মুশকিল। অথচ তাদের জন্যই রেসিপির ভিন্নতা বেশি জরুরী। আর সকল মা মাত্রই জানেন ছোট বাচ্চারা বড়দের চেয়ে বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বেশি ভাল বুঝে। এজন্য তাদেরকে রোজ রোজ একইরকম ভাবে খিচুড়ি না দিয়ে মাঝে মাঝে একটু অন্যভাবে খিচুড়ি রেধে দেয়া দরকার। চলুন আজ এমনই একটি খিচুড়ির রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এই খিচুড়ির রেসিপিটা বাচ্চাদের রোজকার খিচুড়ি থেকে আলাদা। সেই সাথে অনেক পুষ্টিকরও বটে। আপনি বাচ্চার বয়স নয় মাস হলেই এই খিচুড়ি দেয়া শুরু করতে পারেন। তবে অনেক ডাক্তার এক বছরের আগে লবণ ও চিনি বাচ্চাদের দিতে মানা করে থাকেন। আপনার ডাক্তারও যদি এমনটি বলে থাকেন তবে আপনি রেসিপি থেকে লবণ ও চিনি বাদ দিয়ে রান্না করবেন।
বাচ্চাদের মুগডালের খিচুড়ি রান্নার উপকরণ
- পোলাও চাল ২ টেবিল চামচ
- মুগডাল ১/২ চা চামচ
- ফুলকপি ১টা ফুল
- গাজর কুচি ১ চা চামচ
- আলু কুচি ১ চামচ
- মুরগির মাংস ১ টুকরা
- তেল ১/২ চা চামচ
- এলাচ ১টা
- পেঁয়াজ কুচি ১/২ চা চামচ
- রসুন বাটা এক চিমটি
- আদা বাটা এক চিমটি
- জিরা গুড়া এক চিমটি
- হলুদ গুড়া এক চিমটি
- লবণ স্বাদমত
- চিনি সামান্য
- পানি এক কাপ
বাচ্চাদের মুগডালের খিচুড়ি বানানোর নিয়ম
প্রথমেই চাল ও ডাল ভাল করে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে রেখে দিন। এবার সবজিগুলো মিহি করে কুচি করে নিন। মুরগির মাংসও যতটা সম্ভব ছোট ছোট করে কুচি করে নিন। অবশ্যই দেশি মুরগির মাংস নিবেন। ছোট বাচ্চাদের কখনোই বয়লার খাওয়ানো উচিত না।
এবার কড়াতে তেল গরম করে এলাচ ফোড়ন দিন। এতে পেঁয়াজ কুচি দিন। হালকা ভেজে রসুন বাটা ও আদা বাটা দিয়ে দিন। অল্প পানি দিয়ে হালকা কষিয়ে নিন যাতে মশলার কাঁচাভাব চলে যায়।
এবার মাংস এবং কুচি করা ফুলকপি, গাজর ও আলু দিন। কিছুক্ষণ ভাজুন। হলুদ, লবণ, চিনি, জিরা গুড়া দিয়ে দিন।
এবার ধুয়ে রাখা চাল ও ডাল দিয়ে দিন। পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি ফুটে উঠলে জ্বাল কমিয়ে দিন।
২০ মিনিট পর একটা ডাল ঘুটনি দিয়ে একটু ঘুটে দিন। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী ঝোল রেখে চুলা বন্ধ করে দিন। রেডি আপনার বাচ্চার জন্য মজাদার মুগডালের খিচুড়ি।
বাচ্চার খিচুড়ি কতটা নরম বা পাতলা হবে তা শুধু বাচ্চার মায়েরাই বুঝতে পারবেন। এজন্য খিচুড়ির পানি আপনি আপনার সুবিধামত দিয়ে নিবেন।
আর খিচুড়িতে দুই তিন রকমের বেশি সবজি না দেয়াই ভাল। অনেক রকম সবজি একসাথে দিলে শিশুরা স্বাদের পার্থক্য ধরতে পারেনা। তাদের কাছে সব খিচুড়িই তখন একিরকম লাগে।
[…] দেয়ে হৃষ্ট পুষ্ট হোক। এজন্য সকলেই শিশুর ওজন বাড়ায় এমন পুষ্টিকর খাবারের খোজ করে […]
[…] তাই চলুন আজ বাচ্চাদের জন্য মজাদার পালং মুগডাল খিচুড়ি বানানো শিখে […]