
ছোট বড় সকল বয়সী বাঙালির কমন ফেভারিট খাবার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে একবাক্যে সবাই বিরিয়ানির কথা বলবেন। কিন্তু এই বিরিয়ানি রান্না করা কিন্তু যথেষ্ঠ সময় এবং ঝামেলার ব্যাপার। বিশেষত মাংস ভাল করে মেরিনেট করা না হলে বিরিয়ানি একেবারেই মজা হয় না। একারণে হঠাত বাসায় মেহমান এলে আর যাই রান্না করা যাক না কেন বিরিয়ানি রান্না করা যায় না। তবে এই সমস্যার খুব সহজ একটা সমাধান আছে। আর সেটি হচ্ছে আমাদের কিচেন হিরো ডিম। ডিম বিরিয়ানি রান্না করার জন্য কোন রকম মেরিনেটের প্রয়োজন হয় না। আর এই ডিম বিরিয়ানি বানাতে সময়ও খুব কম লাগে। শুধু প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হাতের কাছে থাকলেই হল। চটপট বানিয়ে নেয়া যাবে মজাদার ডিম বিরিয়ানি।
ডিম বিরিয়ানি উপকরণ
বাসমতি চাল এক কাপ
ডিম ৪টি
ছোট এলাচ ৪টি
বড় এলাচ ১টি
দারুচিনি ২ টুকরা
লবঙ্গ ৪টি
কালো গোলমরিচ ৮টি
তেজপাতা ১টি
জায়ফল অল্প
জয়িত্রী অল্প
শাহী জিরা ১/২ চা চামচ
সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ
ঘি ২ টেবিল
পেঁয়াজ মিহি কুচি ১/২ কাপ
পেঁয়াজ বাটা ১/৪ কাপ
রসুন বাটা ৩ টেবিল চামচ
আদা বাটা ৩ টেবিল চামচ
টমেটো কুচি ১টি
লাল মরিচ গুড়া ১/২ চা চামচ
টকদই ১/৪ কাপ
ভাজা জিরা গুড়া ১/২ চা চামচ
লবণ স্বাদমত
চিনি ১/২ চা চামচ
মিষ্টি দই ৪ টেবিল চামচ
গোলাপ জল ১/৪ চা চামচ
কেওড়া জল ১/৪ চা চামচ
পানি ১ কাপ
দুধ ১ কাপ
আস্ত কাঁচামরিচ ৪টি
প্রণালী
প্রথমে ডিমগুলো সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার সামান্য লবণ আর হলুদ দিয়ে মেখে অল্প তেলে ডিমগুলো ভেজে নিতে হবে।
এবার একটা শুকনো প্যানে ছোট এলাচ, বড় এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, কালো গোলমরিচ, তেজপাতা, শাহী জিরা, জায়ফল ও জয়িত্রী টেলে নিতে হবে। মশলা থেকে সুন্দর গন্ধ বের হলে হামান দিস্তায় ভাল করে পিষে নিতে হবে। রেডি বিরিয়ানি মশলা।
এবার কড়াতে তেল ও ঘি গরম করে নিতে হবে। এতে পেঁয়াজ কুচি ব্রাউন করে ভাজতে হবে। পেঁয়াজ কুচি বেরেস্তার মত হয়ে গেলে অর্ধেকটা পরে সাজানোর জন্য তুলে রাখতে হবে।
এবার তেলে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা আর আদা বাটা দিতে হবে। ভাল মত কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে টমেটো কুচি দিয়ে দিতে হবে।
টমেটো কুচি নরম হয়ে গেলে লবণ, চিনি, মরিচ গুড়া, রেডি করা বিরিয়ানি মশলা এবং ভাজা জিরা গুড়া দিতে হবে। অল্প অল্প পানি দিয়ে ভাল করে কষাতে হবে। টকদই দিতে হবে।
মশলা কষানো হয়ে গেলে ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ কষাতে হবে। তারপর ডিমগুলো উঠিয়ে নিতে হবে।
এবার মশলার মধ্যে পানি আর দুধ দিয়ে দিতে হবে। দুধ ফুটে উঠলে চাল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। চুলার জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে।
মিনিট পনেরো পর চাল সিদ্ধ হয়ে যাবে। এবার চাল ফাক করে এর মধ্যে ডিমগুলো দিয়ে দিতে হবে।
একটা পাত্রে মিষ্টি দই, কেওড়া জল আর গোলাপ জল ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ রান্না করা বিরিয়ানির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। উপর থেকে কিছুটা বেরেস্তা আর আস্ত কাঁচামরিচ ছড়িয়ে দিতে হবে। এ অবস্থায় চুলা বন্ধ করে দমে রাখতে হবে ২০ মিনিট।
ব্যাস রেডি মজাদার ডিম বিরিয়ানি।
[…] সব থেকে প্রিয় উপকরণ আমার মনে হয় ডিম। এই ছোট একখানা ডিম দিয়ে যে কত কেরামতি […]
[…] ডিম আমাদের সবার মোটামুটি প্রিয় খাবার। আপনি যদি আপনার ফ্রিজটি খুলে দাড়ান আর চিন্তা করেন যে এত সব উপকরণের মধ্যে কোন উপকরণটি রান্না করলে বাড়ির ছেলে বুড়ো সবাই আঙ্গুল চেটে পুটে খাবার শেষ করবে তাহলে আমার মনে হয় ফ্রিজের দরজায় এক কোণে পড়ে থাকা ডিমের কথা সবার আগে মনে পড়বে। এই খাবারটি এতই মজা যে সাধারণ কি আনকমন যে কোন রেসিপি ফলো করেই রান্না করা হোক না কেন, রান্নাটা মজা হবেই। এরকম একটি অতি সাধারণ খাবার হচ্ছে ডিমের দোপেয়াজো। বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরেই বোধ হয় ডিমের দোপেয়াজো রান্না করা হয়। তবে একেক বাসায় একেক রকম ভাবে ডিমের দোপেয়াজো বানানো হয়ে থাকে। আমি আমার মায়ের বাসায় এক রকম ডিমের দোপেয়াজো খেয়ে বড় হয়েছি। আবার বিয়ের পর দেখি শ্বশুর বাড়িতে আরেক রকম ডিমের দোপেয়েজো রান্না করা হয়। আমার মা বানাতেন সরষের তেল দিয়ে ডিমের দোপেয়াজো। আবার আমার শ্বাশুরি সয়াবিন তেলের সাথে অল্প ঘি ব্যবহার করতেন। আমার মা গরম মশলা ব্যবহার করেন না। কিন্তু আমার শ্বাশুরি ডিমের দোপেয়াজো তে গরম মশলা ফোড়ন দিয়েই রান্না করেন। আমি আবার আমার পছন্দ মত ডিমের দোপেয়াজো তৈরী করে থাকি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ডিমের দোপেয়াজো বানাবার রেসিপি শেয়ের করব যেটা ঐ দুই রেসিপির সংমিশ্রণ বলা চলে। চলুন দেরি না করে জলদি জলদি রেসিপিটি দেখে নেই। […]